বাংলাদেশের কয়েকজন শৈবালবিদ -এর নাম লিখ। শৈবাল বিজ্ঞান গবেষণায় পাঁচজন বিজ্ঞানীর অবদান বর্ণনা কর।
বাংলাদেশের কয়েকজন শৈবালবিদ -এর নাম লিখ। বাংলাদেশের শৈবাল বিজ্ঞানের জনক কে?
বাংলাদেশের কয়েকজন শৈবালবিদ এর নাম হলো :
- ড. এ. কে. এম. নূরুল ইসলাম;
- ড. এম. জামান;
- প্রফেসর আমজাদ আলী ও
- নীলুফার ইয়াসমিন।
বাংলাদেশের শৈবাল বিজ্ঞানের জনক ড. এ. কে. এম. নূরুল ইসলাম । তিনি প্রায় দেড় শতাধিক শৈবাল নিয়ে গবেষণা করেন।
শৈবাল বিজ্ঞান গবেষণায় ড. এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম এর অবদান
বাংলাদেশের শৈবাল গবেষণায় যিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি হলেন ড. এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ছিলেন|
১৯৫২ সাল থেকে তিনি শৈবাল গবেষণা শুরু করেন। তিনি তার গবেষণার শুরু অদ্যাবদী বিভিন্ন স্থানের ও পরিবেশের শৈবাল সংগ্রহ করেন এবং তার উপর গবেষণা করে নতুন গণসহ ১৫০টি প্রজাতির বর্ণনা দেন। তার অনেক ছাত্রছাত্রী শৈবাল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে। তিনি Trentepholia, Chlorella প্রভৃতি মিঠা পানির শৈবালের বর্ণনা দেন।
এছাড়া Clorocucciles, Nostoc সহ বিভিন্ন ধরনের অর্ধবায়বীয় শৈবালের বর্ণনা দেন। তিনি Oedoclodium, Oedogonium, Botrydium সহ প্রভৃতি স্থলজ শৈবাল সম্পর্কে রিপোর্ট প্রদান করেন। তিনি ও তার ছাত্ররা ক্লোরোকক্কেলিস টেট্রাস্পোরোলিস বর্গের ৪১টি গণ ও ১১০ টি প্রজাতি বর্ণনা করেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে Elakantothrix, Ousococcus ও Tetrallantos ধান ক্ষেত ও পুকুর থেকে Kirehneselloriaccus, lunetus নামক একটি নতুন প্রজাতি সনাক্ত করেন। প্রফেসর নুরুল ইসলাম Euglenophyceae-এর প্রায় ৯৬টি প্রজাতির বর্ণনা দেন। তিনি ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশে প্রাপ্ত Cyanophyceae-র ৪৩টি গণের বর্ণনা দেন।
শৈবাল বিজ্ঞান গবেষণায় পাঁচজন বিজ্ঞানীর অবদান বর্ণনা কর।
শৈবাল বিজ্ঞান নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অসংখ্য বিজ্ঞানী গবেষণা করেন। নিচে তাদের মধ্যে থেকে পাঁচ জন বিজ্ঞানীর অবদান নিচে বর্ণনা করা হলো :
১. A. L. De Jussieu: De Jussien প্রথম জীববিজ্ঞানী যিনি শৈবালকে একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর মর্যাদা দেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে শৈবাল গবেষণার অবদান যাদের বেশি তাদের মধ্যে Jussieu অন্যতম। তার সময়ে শৈবালের যে চারটি গণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় তা হলো Corallina, Confera, Fucus ও Ulva। তিনি সামুদ্রিক শৈবাল সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণে অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন।
২. উইলিয়াম এইচ হার্ড : ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যিনি শৈবালের শ্রেণিবিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি হলেন উইলিয়াম হার্ভ। ১৮৩৬ সালে তিনি শৈবালের বিভাগের ধারণার উন্নতি ঘটনা এবং তার ভিত্তিতে বাদামি শৈবালকে Melanospermae, লোহিত শৈবালকে Rhodospermae, সবুজ শৈবালকে Chlorospermae এবং ডায়াটম ও ভেসসিড়কে Diatomaceae নামকরণ করেন ।
৩. Prof. C. A. Agardh : তিনি Mougiotia এবং Zygnea গণ প্রতিষ্ঠা করেন এবং Diatomaceae, Nostochineae, Ulvaceae, Confervoideae, Florideae Fucoideae ছয়টি বর্গ আবিষ্কার করেন ।
৪. ড. এ. কে. এম. নূরুল ইসলাম : বাংলাদেশের যেসব জীববিজ্ঞানী শৈবাল নিয়ে গবেষণা করেছেন তাদের মধ্যে ড. এ.কে. এম. নূরুল ইসলাম অন্যতম। তিনি তার গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রাপ্ত শৈবালের একটি নতুন গণ সহ প্রায় ১৫০টি প্রজাতির বর্ণনা করেছেন। তিনি ধান ক্ষেত ও পুকুর থেকে Kirchneselloriaccus lunetus নামক একটি নতুন গণ শনাক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে প্রাপ্ত Euglenophyceae -র প্রায় ৯৬ টি ও Cyanophyceae-এর প্রায় ৪৩টি গণের বিবরণ দেন।
৫. R. N., Singh : তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশে Zygnemaceae, Oedogoniaceae গোত্র ও Chaetoporales বর্গের শৈবাল সম্পর্কে গবেষণা করেন। তিনি Role of blue green algae in the nitrogen economy of India Agriculture নামক একটি মানাগ্রাফ রচনা করেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url