মিথোজীবী শৈবাল, থার্মোফাইটিক, ক্রায়োফাইটিক শৈবাল সম্পর্কে লিখ।

মিথোজীবী শৈবাল

যে সব শৈবাল ছত্রাকের সাথে একত্রে মিথোজীবী হিসাবে বসবাস করে উভয়েই উপকৃত হয়, সেসব শৈবালকে মিথোজীবী বা সিম্বায়োটিক শৈবাল বলা হয়। শৈবাল ও ছত্রাক উভয়েই আদর্শ মিথোজীবী সম্পর্কের কারণে লাইকেন সৃষ্টি করে। এরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। এসব শৈবাল লাইকেন এর অপরিহার্য উপাদান।

যেমন; Trentepholia, Cephaleuros, Urococcus, Coccomyxa, Nostoc ইত্যাদি মিথোজীবী শৈবালের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

থার্মোফাইটিক বা উচ্চতাপমাত্রাপ্রিয় শৈবাল 

যে সমস্ত শৈবাল উষ্ণ প্রস্রবণের কাছে প্রচণ্ড গরম পানিতে জন্মায় তাদেরকে থার্মাল শৈবাল বলে। এ ধরনের উত্তপ্ত পানিতে অন্য কোনো জীব জন্মাতে না পারলে ও Heterohornogonium -এর ন্যায় শৈবাল জন্মাতে পারে। এটি একটি নীলাভ সবুজ শৈবাল। নীলাভ সবুজ শৈবালের সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস না থাকায় এই শ্রেণির শৈবাল এরূপ প্রতিকূল পরিবেশে জন্মাতে সক্ষম। 

১৯৭৪ সালে বাউন্ড ও ব্রোক রিপোর্ট করেন যে, থার্মাল নীলাভ সবুজ শৈবাল ৫০–৭৩°C তাপমাত্রাতে জন্মায়। অর্থাৎ উচ্চ তাপমাত্রায় ৬৫°C-৭৫°C তাপমাত্রাযুক্ত পানিতে বসবাসকারী শৈবাকে থার্মোফাইটিক শৈবাল বলে। যেমন— Chroococcus.

ক্রায়োফাইটিক বা বরফবাসী শৈবাল

যেসব শৈবাল বরফ অথবা তুষারের উপর জন্মায় তাদের ক্রায়োফাইটিক শৈবাল বলে। এদেরকে ক্রায়োবায়োটা নামে আখ্যায়িত করা হয়। ক্রায়োফাইটিক শৈবালের কিছু সদস্যকে বরফ ও তুষারের উপর বিচিত্র বর্ণ সৃষ্টি করতে দেখা যায়। নিম্নে বর্ণের ভিত্তিতে এদের নাম উল্লেখ করা হলো :

লাল বর্ণ : Chlamydomonas nivalis, Vothrix flaccida এর বিভিন্ন প্রজাতি ।

কালো বর্ণ : Raphidonema এর প্রজাতি।

ধূসর-বাদামি বর্ণ : Ancyclonema nordenskioldii

পর্বতশৃঙ্গের স্থায়ী তুষারের উপর যেসব শৈবাল জন্মাতে দেখা যায় তাদের মধ্যে Chlorella ও Hormidium -এর প্রজাতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বরফের উপর অন্যান্য যেসব শৈবাল জন্মায় তার মধ্যে Chrysolykes, Nannochloris ও Vaucheria jonestii উল্লেখযোগ্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url