Phycology বা শৈবাল বিজ্ঞান বলতে কি? শৈবালের মুখ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ- EASY BOTANY

Phycology বা শৈবাল বিজ্ঞান বলতে কি বুঝ?

দুটি গ্রীক শব্দ Phykos বা Sea weeds সামুদ্রিক  আগাছা এবং LogosKnowledge → জ্ঞান সমন্বয়ে Phycology শব্দের উৎপত্তি। 

শৈবাল সাধারণত সমাঙ্গদেহী, সালোকসংশ্লেষণকারী, অভাস্কুলার উদ্ভিদ যাদের Sporangia সর্বদাই এককোষী, জনন অঙ্গ ব্যক্ত এবং জাইগোট স্ত্রী জননাঙ্গে থাকাকালীন কখনও বহুকোষী ভ্রূণে পরিণত হয় না।

G.M. Smith -এর মতে, সমাঙ্গদেহী স্বভোজী উদ্ভিদ গোষ্ঠীকেই শৈবাল বলে

R.M. Singh -এর মতে, যেসব উদ্ভিদ সমাঙ্গদেহী যারা বিভিন্ন ধরনের রঞ্জক পদার্থ বহন করে এবং সালোকসংশ্লেষণের শেষে O2 নির্গমণে সক্ষম তারাই শৈবাল ।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের যে শাখায় শৈবাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাকে শৈবাল বিজ্ঞান (Phycology) বলে ।

শৈবালের মুখ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

শৈবাল সাধারণত সমাঙ্গদেহী, অভাস্কুলার, অপুষ্পক উদ্ভিদ গোষ্ঠী। শৈবালের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

  শৈবালের মুখ্য/ প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে লিখা হলো :

১. শৈবাল সমাঙ্গদেহী। এদের দেহকে কখনই মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভেদিত করা যায় না।

২. দেহে ক্লোরোফিলের উপস্থিতির জন্য এরা সালোকসংশ্লেষণে সক্ষম। কাজেই খাদ্যের বিচারে এরা স্বভোজী

৩. শৈবালের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ ও পেকটিন দ্বারা গঠিত

৪. দু'একটি ব্যতিক্রমী সদস্য ছাড়া অধিকাংশ শৈবালের সঞ্চিত খাদ্য শর্করাজাতীয়।.

৫. শৈবালের স্পোরাঞ্জিয়াম বা রেণুস্থলি সর্বদাই এককোষী ।

৬. অধিকাংশ শৈবালের জননাঙ্গ এককোষী ।

৭. কোনো কোনো শৈবালের জননাঙ্গ বহুকোষী হলেও সাধারণতঃ বন্ধ্যা কোষ দ্বারা আবৃত থাকে না ।

৮. কয়েকটি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে বহুকোষী জননাঙ্গ বন্ধ্যা কোষ দ্বারা আবৃত ।

৯. জনন তিন ধরনের- অঙ্গজ, অযৌন ও যৌন।

১০. নিম্নশ্রেণির কিছু শৈবালে খণ্ডায়ন, মুকুলোদ্দাম, হর্মোগোনিয়াম ইত্যাদির মাধ্যমে অঙ্গজ জনন হয় ।

১১. এর রেণুস্থলি সর্বদাই এককোষী ।

১২. এদের সুস্পষ্ট জনুঃক্রম অনুপস্থিত।

উদাহরণVolvox, Chara, Polysiphonia ইত্যাদি |

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url